এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। দেশটির রাজধানী দোহার যে এলাকাটিতে বিশ্বকাপের সময় ফুটবল ভক্তরা থাকবেন সেই এলাকা থেকে হাজার হাজার বিদেশি শ্রমিককে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৯ অক্টোবর) সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। দেশটির শ্রমিকরা জানিয়েছে, এক ডজনেরও বেশি ভবন খালি করেছে কর্তৃপক্ষ এবং এগুলো শ্রমিকদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
এই শ্রমিকরা মূলত এশীয় ও আফ্রিকান। বিছানাপত্রসহ তাদের জিনিসপত্র ফুটপাতের ওপর ফেলে দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে নতুন আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য করা হচ্ছে। আগামী ২০ নভেম্বর কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
আন্তর্জাতিক এই আয়োজনকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে কাতার। এই নির্মাণ প্রকল্পগুলোকে কেন্দ্র করে কাতারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এর আগে শ্রমিক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
একটি ভবনের বাসিন্দারা জানান, দোহার আল মানসুরা জেলায় তাদের ভবনটিতে এক হাজার ২০০ মানুষ থাকতো। বুধবার (২৬ অক্টোবত) রাত ৮টায় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
রয়টার্স
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভবনের বাসিন্দারা জানান, দোহার আল মানসুরা জেলায় তাদের ভবনটিতে এক হাজার ২০০ মানুষ থাকতো। বুধবার (২৬ অক্টোবত) রাত ৮টায় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে নগর কর্তৃপক্ষ এসে শ্রমিকদের জোর করে বের করে দেয় এবং ভবনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। অনেক শ্রমিক তাদের বিছানাপত্রও কক্ষ থেকে বের করা সুযোগ পায়নি। কাতারের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই উচ্ছেদ বিশ্বকাপের সাথে সম্পর্কিত নয়।
‘দোহার অঞ্চলগুলো পুনরায় সংগঠিত করার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ এটি।’ তিনি দাবি করেছেন, ‘সবাইকে নিরাপদ ও উপযুক্ত আবাসনে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ‘যথাযথ নোটিশ’ দিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।